৩টি ভিন্ন স্বাদে কাঁচা আমের জুস/শরবত | green mango juice | Raw mango juice in 3 different flavors
অনেকেই ডালের সঙ্গে রান্নার জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ জুস বানিয়ে খান। কেউ আবার কাঁচা আমের ভর্তা খুব পছন্দ করেন। যে যেভাবেই খান না কেন, হয়ত নিজের অজান্তেই শরীরের অনেক বড় উপকার করছেন। কাঁচা আম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
আসুন জেনে নেই কাঁচা আমের উপকারিতা-
১. যারা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম। পাকা মিষ্টি আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে বলে এটি ক্যালরি খরচে সহায়তা করে।
২. বুক জ্বালাপোড়া বা অম্লতার সমস্যায় ভুগছেন? কাঁচা আম এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। অম্লতা কমাতে কাঁচা আমের এক টুকরো মুখে দিতে পারেন।
৩. অনেকেরই সকালে উঠে বমি বমি ভাব হয়। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা যারা। এ সমস্যা দূর করতে পারে কাঁচা আম।
৪. কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা ঠাণ্ডাজাতীয় রোগ প্রতিরোধ করে। শরীরে পটাসিয়ামের অভাব পূরণ করে লিভার ভালো রাখে।
৫. যকৃতের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক বন্ধু হতে পারে কাঁচা আম। কয়েক টুকরো কাঁচা আম চিবানো হলে পিত্তরস বৃদ্ধি পায়। এতে যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং অন্ত্রের জীবাণু সংক্রমণ দূর হয়।
৬. গরমের সময় ঘামাচি একটি অস্বস্তিকর ব্যাপার। ঘামাচির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সবচেয়ে ভালো উপায় কাঁচা আম খাওয়া। কাঁচা আমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা সানস্ট্রোক হতে বাধা দেয়।
৭. কাঁচা আমে আয়রন বা লৌহ থাকায় রক্তস্বল্পতা সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী।
৮. কাঁচা আম খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কাঁচা আম।
৯. কাঁচা আম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
১০. কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে৷ এ কারণে শরীরে ঘাম কম হয়। গরমে ক্লান্তিও দূর হয়।
শরীরে লবণের ঘাটতি দূর করে
গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বের হয়ে যায়। কাঁচা আমের জুস শরীরের এই ঘাটতি দূর করে। যাঁরা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাঁদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম।
পেট ভালো রাখে
গরমে পেটের গোলমাল? এক গ্লাস আমের জুস দারুণ কাজে লাগতে পারে। খাদ্য হজমে সহায়তা করে কাঁচা আম। অন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় কাঁচা আম।
শরীর ঠান্ডা থাকে
কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে৷ এ কারণে শরীরে ঘাম কম হয়। গরমে ক্লান্তিও দূর হয়৷ দুপুরে খাওয়ার পর এই গরমে কিছুটা ঝিমুনি ভাব দেখা দিতে পারে। কাঁচা আমে আছে প্রচুর শক্তি। দুপুরের খাওয়ার পরে কয়েক টুকরা কাঁচা আম খেলে ঝিমুনি দূর হয়।
হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো
কাঁচা আমকে হৃদ্যন্ত্রবান্ধব বলা যেতে পারে। এতে আছে নিয়াসিন নামের বিশেষ উপাদান। এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায় এবং বাজে কোলস্টেরল স্তরকে কমাতে সাহায্য করে। যকৃতের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক বন্ধু হতে পারে কাঁচা আম।
স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া রোধ করে
কাঁচা আম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘সি’ জোগাতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া কমায় কাঁচা আম। আমচুর স্কার্ভি নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর। নিশ্বাসের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় রোধেও সহায়তা করে কাঁচা আম। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
৩টি ভিন্ন স্বাদে কাঁচা আমের জুস/শরবত | green mango juice | Raw mango juice in 3 different flavors
Reviewed by Tajul Islam
on
April 30, 2021
Rating: 5
No comments: